Hot Post

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঝিলিম বাজার, আমনুরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঝিলিম বাজার, আমনুরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।। Chapainawabganj 100MW Power Plant, Jhilim baazar, Amnura, Chapainawabganj

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০মেঃওঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন একটি সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ২০১৭ সাল থেকে এটি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির স্থাপিত ক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির টার্ণ কী  ঠিকাদার ছিল চায়নার Hubei Electric Power Survey & Design Institute। উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলের লো-ভোল্টেজ সমস্যা মোকাবেলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০ মেঃওঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্র

চিত্রঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০মেঃওঃ বিদ্যুৎ কেন্দ্র [ফটো ক্রেডিটঃ জনাব মোঃ শাহরিয়ার ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী(পরিচালন)]

Wartsila Finland এর তৈরি মোট ১২ টি ইঞ্জিন জেনারেটর সেট দিয়ে এটি স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জেনারেটরের ক্যাপাসিটি ৮.৯২৪ মেগাওয়াট। জেনারেটরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হলো ABB, Germany।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ফার্নেস ওয়েল ও ডিজেল চালিত। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি তেল রেলওয়ে ওয়াগণের মাধ্যমে খুলনা থেকে পরিবহণ করে আনা হয়। জ্বালানি তেল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের মাধ্যমে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ওয়েল কোম্পানির থেকে সংগ্রহ করা হয়। 

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পাশেই পিজিসিবি’র গ্রীড সাব-স্টেশন ও সিনহা পাওয়ার জেনারেশনের আমনুরা ৫০ মেগাওয়াট রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। 

আমনুরা রেলওয়ে জংশনের নিকটেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অবস্থিত। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জেনারেশন ভোল্টেজ ১১ কেভি এবং তা ১১/১৩২ কেভি ট্রান্সফর্মারের মাধ্যমে ১৩২ কেভিতে রূপান্তরিত করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়। 

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য জনবল হিসাবে প্ল্যান্ট ম্যানেজার ও নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং কারিগরি কর্মচারী রয়েছে। 

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অন্তর্ভুক্ত, তাই এখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। সার্বক্ষণিক এখানে আনসার বাহিনী ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নিরাপত্তা প্রহরীরা টহল দেয়।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে কেন্দ্র করে আশেপাশের এলাকায় নতুন নতুন মার্কেট ও বাজার তৈরি হয়েছে। এ অঞ্চলের অর্থনীতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার ভৌগলিক গুরুত্ব বেড়েছে।

Post a Comment

0 Comments